পটুয়াখালীর দুমকীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি জানিয়েছে পুলিশ। রোববার (২৭ এপ্রিল) পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার জানান, ভুক্তভোগীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলার দুই আসামি এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছে এবং তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকায় নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী, এমন দাবি করেছে তার পরিবার। পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে তার ময়নাতদন্ত করা হয়। মরদেহ গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকীতে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
পুলিশের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে আত্মহত্যার আলামত পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, লামিয়ার গলায় অর্ধ-চন্দ্রাকৃতির ফাঁসের চিহ্ন দেখা গেছে। ঘাড়ের পেছনের অংশ এবং মৃতের হাত-পা স্বাভাবিক ছিল। শরীরের অন্য কোথাও কোনো আঘাত বা জোরজবরদস্তির চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ মার্চ পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নে ওই কলেজছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এরপর ভুক্তভোগী ২০ মার্চ থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়। ওইদিন রাতেই ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং ২১ মার্চ অপর আসামিকে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।